মুখ‍্যমন্ত্রী রয়েছেন জেলায় : সেখানে দাঁড়িয়েই মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপি নেত্রীর

22nd November 2020 9:10 pm বাঁকুড়া
মুখ‍্যমন্ত্রী রয়েছেন জেলায় : সেখানে দাঁড়িয়েই মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপি নেত্রীর


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  রামসাগরে গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল স্বামী সহ শ্বাশুরীর বিরুদ্ধে । ওই মৃতা গৃহবধূর পরিবারের লোকের সঙ্গে দেখা করতে এলেন বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল ।মৃতার নাম মৌ দে । বাঁকুড়ার ওন্দার রামসাগরে মৃতার শ্বশুরবাড়ি । মৃতার বাপের বাড়ি সূত্রে খবর, বছর দশেক আগে রামসাগরের গোবর্দ্ধন রায়ের সাথে বিষ্ণুপুরের দেঝাট গ্রামে মৌ দে-র বিয়ে হয় । মৃতার বাপের বাড়ির তরফে দাবি করা হয়েছে, বিয়েতে যৌতুক হিসেবে নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও গহনা দেওয়া হলেও তাদের মেয়েকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। একই সঙ্গে মৌ দে-কে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ । সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওন্দা থানার পুলিশ মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে যদিও মৃতার  শাশুড়ি এখনো পলাতক । আজ ওই মৃতার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে কলকাতা থেকে ছুটে এলেন বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল । তিনি ওই পরিবারের লোকজনদের সমবেদনা জানান পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে দোষারোপ করেন তিনি বলেন এই রাজ্যের মহিলাদের কোন নিরাপত্তা নেই মহিলাদের উপর অত্যাচার হলে এই সরকারের পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না যে কারণেই এই ধরনের ঘটনার বারবার ঘটছে । তার সাথে সাথে তিনি দোষীদের ফাঁসির দাবি তোলেন ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।